OrdinaryITPostAd

ব্রেইন ভালো রাখার ‍উপায়

মানব শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো ব্রেইন। আমরা সারাদিন যা কিছু করে বেড়াই তার সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে এই ব্রেইন বা মস্তিষ্ক। প্রতিটি মানুষের সুস্থ ব্রেইন বা মস্তিষ্ক থাকা খুব জরুরী। আমাদের জীবনের দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে কর্মজীবন সব ক্ষেত্রেই সুস্থ ব্রেইন  বা মস্তিষ্ক দরকার। তাই আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা হবে ব্রেইন ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে।


পেজ সূচিপএঃ ব্রেইন ভালো রাখার ‍উপায়

জানার আগ্রহ বৃদ্ধি করা

দেখুন একজন মানুষ সবকিছুই জানে এরকমটা না। আপনাকে কোন প্রশ্ন করা হলে আপনি স্বাভাবিকভাবে সেই প্রশ্নটার উত্তর নাও জানতে পারেন, কিন্তু আপনাকে এই বিষয়টা নিয়ে রাগ করা যাবে না। বরং আপনাকে সেই বিষয়টি জানতে হবে যে আপনাকে প্রশ্নটি করেছে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানার আগ্রহ থাকতে হবে, সেই বিষয় নিয়ে পর্যাপ্ত আলাপ আলোচনা করতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর আপনাকে এভাবে জানার আগ্রহ তৈরি করতে হবে তাহলে দেখবেন আপনার ব্রেন আস্তে আস্তে সচল হচ্ছে।

শুধুমাত্র পাঠ্য বইয়ের পড়া পড়ে জ্ঞানী হওয়ার চেষ্টা করবেন না। জ্ঞানী হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই পাঠ্য বইয়ের বাইরেও আরো অন্যান্য বিষয়গুলো জানতে হবে। সেগুলো নিয়ে আপনাকে বিস্তারিত চিন্তা ভাবনা করতে হবে। এভাবে যখন আপনি যে কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে থাকবেন বা জানার আগ্রহ তৈরি করবেন তখন দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে।

নিয়মিত ব্যায়াম করা

আমরা সবাই জানি যে একটি সুস্থ শরীর গঠন করার জন্য ব্যায়াম করার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু ব্যায়াম করলে যে শুধুমাত্র শরীরের গঠন বৃদ্ধি হয় বা শরীরের চর্বি কেটে যায় তা কিন্তু নয়। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আপনার মস্তিষ্কের স্নায়ু গুলো সক্রিয় থাকবে, টেনশন ফ্রি রাখবে, মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং আপনাকে সতেজতার সাথে প্রাণবন্ত রাখবে। তাই আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে মস্তিষ্ক থেকে নিউরোট্রফিক ফেক্টর নামক এক ধরনের হরমোন নিশ্রিত হয় যা ব্রেনকে সুস্থ এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে।

শারীরিক ব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং মেমরি লস হতে পারে এমন সব অসুখ থেকে রক্ষা করে যেমনঃ ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি। তাই আপনি যদি একজন সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

মেডিটেশন করা

যখন আমরা একনাগারে দীর্ঘক্ষণ কাজ করি তখন আমাদের শরীর এবং মন দুটিই অচল হয়ে পড়ে বা একঘেয়েমি সৃষ্টি হয় ,এই একঘেয়েমি দূর করার জন্য কাজের ফাঁকে চোখ বন্ধ করে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মস্তিষ্ককে চাপমুক্ত রাখার উপায় হচ্ছে মেডিটেশন।

স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মেডিটেশন খুব বেশি কার্যকর। মস্তিষ্ক শান্ত এবং ফ্রেশ রাখার জন্য প্রতিদিন একবার হলেও মেডিটেশন করুন। আপনি চাইলে বিভিন্ন যোগব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে একটু খোলা জায়গায় হাঁটার চেষ্টা করুন। আপনার এই সকল ছোট্ট ছোট্ট কাজগুলোই আপনার ব্রেনের বা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খুব বেশি সাহায্য করবে।

পর্যাপ্ত ঘুম পাড়া

ঘুম মানুষের একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস যা শরীর এবং মন দুটিকেই ফ্রেশ রাখতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের সক্রিয়তা এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য ঘুমের কোন বিকল্প নেই। আপনার উচিত প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম পাড়া যা আপনার ব্রেন কে রিফ্রেস করে দিবে

তাই পর্যাপ্ত ঘুম পারার চেষ্টা করুন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মস্তিষ্কের স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি রাখার জন্য উত্তম ঘুম জরুরী। এছারাও আপনি প্রতিদিন দুপুরবেলা আধাঘন্টা থেকে ৪৫ মিনিট ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করে ফেলুন যা আপনার ব্রেন কে সুস্থ রাখার জন্য বেশ ভালো কার্যকরী হবে।

টেলিভিশন কম দেখা

আমরা প্রতিদিন টেলিভিশন দেখার মাধ্যমে আমাদের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করে ফেলি, যা একেবারে উচিত নয়। আমরা যখন টেলিভিশন দেখি তখন আমাদের মস্তিষ্কে বিভিন্ন রকম চিন্তা ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকে যা আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষয় সৃষ্টি করে। তাই পর্যাপ্ত টেলিভিশন দেখার থেকে বই পড়ার চেষ্টা করুন। বা অবসর সময় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে গল্প করুন।

এছাড়া আপনি যদি মুসলিম ধর্মের হয়ে থাকেন তাহলে অবসর সময়ে কোরআন পড়ার চেষ্টা করুন, অথবা আপনি যদি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার নিজ ধর্মগ্রন্থ পড়ার চেষ্টা করুন এতে দেখবেন আপনার ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪