সাবমেরিন টাইটানের পরিনতি
সারা বিশ্বই জানে টাইটানিকের মর্মান্তিক ঘটনা কিন্তু মানুষ কখনোই ভাবেনি যে টাইটানিকের মতো একই অবস্থা আবার বিশ্বকে দেখতে হবে। টাইটানিকের মতো সাবমেরিন টাইটানের সব তথ্য আটলান্টিকে চিরদিনের মতো হারিয়ে গেছে। ১৯১২ সালে ভয়াবহ এক পরিণতি ঘটেছিল সেই সময়ের বিস্ময়কর সৃষ্টিকারী জাহাজ টাইটানিকের। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে একই পরিণতি হয়েছে সাবমেরিন টাইটানের পাঁচ যাত্রীর।
পেজ সূচিপএঃ সাবমেরিন টাইটানের পরিনতি
সাবমেরিন টাইটান
টাইটান বিশেষভাবে তৈরি এক ধরনের সাবমেরিন যা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি সমুদ্রের তলদেশে প্রায় চার হাজার মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারত। টাইটানের ওজন প্রায় ২৩ হাজার পাউন্ড(১০৪৩২ কেজি)।
সমুদ্রের সব থেকে গভীরে যেতে সক্ষম মার্কিন সাবমেরিন ইউএসএস ডলফিনের থেকেও বেশি গভীরতায় যেতে সক্ষম ছিল টাইটান। টাইটানের ট্রায়াল দেওয়া শুরু হয় ২০১৮ সালে এবং ২০২১ সালে এটি প্রথম যাএা শুরু করে।
যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হতো টাইটান কে
যেহুতু টাইটান সমুদ্রের অনেক গভীর পর্যন্ত যাএা করতে পারতো তাই এই পর্যন্ত GPS কাজ করবে না জন্য একটি বিশেষ টেক্সট মেসেজ সিস্টেমের মাধ্যমে ওপরে থাকা সাপোর্ট জাহাজ থেকে নির্দেশ পেয়ে থাকতোে। এই নির্দেশের ওপর ভিত্তি করে এবং একটি মডিফাইড গেম কন্ট্রোলারের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হতো।
যেভাবে ধ্বংস হয়েছে টাইটান
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রায় ১৬০০ ফুট দূরে পাওয়া গেছে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ। মার্কিন কোস্টগার্ড এর তথ্য মতে, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে পানির চাপ নিতে না পেরে বিস্ফোরিত হয়েছে টাইটান। এর ভেতরে থাকা পাঁচ যাত্রীর কেউ-ই বেঁচে নেই।
টাইটানের যাত্রী কারা ছিলেন
টাইটানের ক্যাপসুলে ছিলেন পাঁচ পর্যটক। এর মধ্যে ছিলেন ওশানগেটের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ (৬১)।