OrdinaryITPostAd

ডুমুর ফল এর উপকারিতা - ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আজকের এই পোস্টে ডুমুর ফল এর উপকারিতা, ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম, ডুমুর ফল রান্নার পদ্ধতি এবং ডুমুর ফলের পুষ্টিগুন সম্পর্কে জানবো। গ্রাম অঞ্চলে প্রায়ই ডুমুর গাছ দেখা যায়। আমরা অনেকেই ডুমুর ফল এর উপকারিতা বা ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানি না। তাই ডুমুর ফল এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এই পোস্টের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডুমুর ফল এর উপকারিতা - ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম

ডুমুর ফল কোথায় পাওয়া যায়

ডুমুর ফল বা ডুমুর ফুল নিয়ে রয়েছে নানারকম প্রবাদ। অনেকেই বলে থাকেন তুমি তো ডুমুরের ফুল হয়ে গেছো। অর্থাৎ তোমাকে তো সহজে পাওয়া যায় না। আসলেই আগে যেভাবে ডুমুর গাছ গ্রামের বিভিন্ন বন-জঙ্গলে সচরাচর দেখা যেতো এখন তেমন দেখা যায় না। ডুমুর ফলের গাছ সাধারণত গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন পরিত্যক্ত জায়গায় বেশী দেখা যায়। ডুমুর ফল এর রয়েছে নানা রকম উপকারিতা।

ডুমুর ফল গাছ এর কদর আগে তেমন ছিল না। কারণ আগে ডুমুর ফল এর উপকারিতা এবং ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেক মানুষ ভালোভাবে জানতো না। কিন্তু বর্তমানে ডুমুর ফল এর উপকারিতা সম্পর্কে মানুষ জানার প্রেক্ষিতে ডুমুর ফলের কদর বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্য সচেতন প্রতিটি মানুষ কম বেশী ডুমুর ফল গাছ খোঁজ করে। অনেকেই আবার ডুমুর ফলের চাষাবাদ শুরু করেছে। 

মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে ডুমুর বানিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। ডুমুর ফল সাধারণত নরম ও মিষ্টি জাতীয় ফল। এর বাইরের আবরণটি পাতলা এবং ভিতরে রয়েছে ছোট ছোট দানা। ডুমুর ফলের ভিতরের দানাগুলো খাওয়ার অনুপযোগী।

ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম - ডুমুর ফল রান্না করার পদ্ধতি

ডুমুর ফল এর উপকারিতার জন্য এটিকে বিভিন্ন দেশে নানাবিধ পদ্ধতিতে খাওয়া হয়ে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ডুমুর ফলকে ফল হিসাবেই দেখা হয় এবং খাওয়া হয়। বাংলাদেশে ডুমুর ফলের আকৃতি ছোট হওয়ায় এটিকে ফল হিসেবে না খেয়ে সবজি হিসেবে বেশী খাওয়া হয়। ডুমুর ফল বিভিন্ন পদ্ধতিতে ছোট ছোট করে কেটে রান্না করে খাওয়া যায়।

ডুমুর ফল এর উপকারিতা আপনি এটিকে কিভাবে খাবেন তার উপর কিছুটা নির্ভর করে। ডুমুর ফল রান্না করার জন্য প্রথমেই পাতলা করে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় মশলা ব্যবহার করে এবং এর সাথে চিংড়ী মাছ অথবা অন্য কোন মাছ দিয়ে রান্না করতে হয়। ডুমুরের ফল খুবই টেস্টি একটি সবজি। অনেকেই ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম জানেন না। আবার অনেকে ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম জানলেও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অবগত নন। নিচে ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম নিয়ে কিছু আলোচনা করা হলো।

উপকরণঃ
ডুমুর সিদ্ধ ৪ কাপ, আলু সিদ্ধ ১ কাপ, মযদা আধা কাপ, নারকের দুধ ১ কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ৩ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, দরুচিনি গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ, তেল ১ কাপ। 
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে ডুমুর, আলু, ময়দা, একটু লবণ আর অল্প মরিচেরগুঁড়া একসঙ্গে মেখে নিন। এবার ডুমুর কাটাগুলো গরম তেলে ভালো করে ভাজুন। তেলের মধ্যে দুধ বাদে সকল উপকরণ দিয়ে কষাতে থাকুন।তারপর একটু পানি দিন। তেল ভেসে উঠলে কোপতাগুলো মসলায় ছেড়ে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন।এবার নারকেল দুধ দিয়ে মাঝারি আঁচে ৫/৬ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরপর ইচ্ছেমত ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।এছাড়াও ডুমুরের লাড্ডূ, ডুমুরের নাগেট, ডুমুরের কোফতা কালিয়া ইত্যাদি মজাদার আইটেম বানিয়ে খাওয়া যায়।

ডুমুর ফলের উপকারিতা - ডুমুর ফলের পুষ্টিগু

ডুমুর ফল এর উপকারিতা বা ডুমুর ফল এর পুষ্টিগুনের কথা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। নিচে সংক্ষেপে ডুমুর ফল এর উপকারিতা এবং ডুমুর ফল এর পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
  • ডায়াবেটিস হলে ডুমুর ফল এর  রস খেলে বেশ উপকার করে।
  • যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ডুমুরের ফল খুব উপকারি।
  • মেয়েদের মাসিকের সময় বেশি রক্তস্রাব হলে কচি ডুমুরের রসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।
  • ডুমুর পিত্ত ও আমাশয় রোগে উপকার করে।
  • ডুমুর ফলে অধিক পরিমাণে লৌহ থাকায় অতিরিক্ত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
  • রক্তপিত্ত, রক্তপড়া এবং রক্তহীনতা রোগে উপকারি।
  • জ্বরের পর ডুমুর ফল রান্না করে খেলে এটি টনিকের কাজ করে।
  • দুধ ও চিনির সঙ্গে ডুমুরের রস খেলেও অধিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়।
  • আমাশয় হলে ৩ দিন কচি ডুমুরের পাতা আতপ চালের সাথে চিবিয়ে খেলে ভালো হয়।
  • সাদা ও রক্ত আমাশয় হলে ডুমুর গাছের ছালের ২ চামচ রস এবং মধু মিশিয়ে দিনে দুই বার খেলে বেশ উপকার হয়।
  • মাথা ঘোরা রোগে ডুমুর ভাজি করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
  • অতিরিক্ত হেঁচকি উঠলে ডুমুরের বাইরের অংশ কেটে পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে তারপর ঐ পানি ছেঁকে এক চা চামচ করে খেলে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়।
  • ডুমুর গাছের ছাল পানি সহ সিদ্ধ করে সেই পানি দ্বারা ত্বক ধৌত করলে চর্মের রোগএবং ক্ষত রোগে উপকার হয়
  • ডুমুর ফল দুধের সাথে সিদ্ধ করে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে যায়।
  • ক্ষুধামন্দা রোগে ১ চা চামচ কাঁচা ডুমুরের রস খাওয়ার খেলে উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়া ডুমুর ফল ক্যান্সার নিয়ন্ত্রনে, হাড়ের বৃদ্ধিতে, হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখে, ত্বকের জন্য উপকারি, উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে ডুমুর কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

ডুমুর ফলের অপকারিতা

ডুমুর ফল এর উপকারিতা রয়েছে একথা সবাই জানে। কিন্তু ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম এর উপর এর উপকারিতা বা অপকারিতা নির্ভর করে।  ডুমুর ফল অতিরিক্ত খেলে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হতে পারে, রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে, অ্যালার্জি হতে পারে, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই ডুমুর ফল পরিমাণ মত খাওয়াই উত্তম। 
 

শেষকথাঃ ডুমুর ফল এর উপকারিতা - ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম 

আমরা আজকের পোস্টে ডুমুর ফল এর উপকারিতা, ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম এবং ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম জানলাম। ডুমুর ফল আপনি যেমন ইচ্ছা তেমন রেসিপি বানিয়ে খেতে পারেন। এর বিভিন্ন গুণের জন্য এটি ধীরে ধীরে মানুষের কাছে আরো বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডুমুর ফলকে পার্শ্ব সবজি হিসেবে অন্যান্য খাবারের সাথে প্রতিদিনের খাবারের মেন্যুতে রাখতে পারেন। ১৯০২৬

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪